অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বখাটেরা। তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতাবস্থায় থানা পুলিশকে দেখিয়ে নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পুলিশ মামলা নেবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্যাতিতার বাবাকে।
উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মজিদ গোমস্তা জানান, তার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে আইরিন (২০) বৃহস্পতিবার ভোর রাতে (৪.৩০) ঘর থেকে বের হলে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পার্শ¦বর্তী বাড়ির এমদাদ তালুকদারের ছেলে রবিউল (২০), এচাহাক মোল্লার ছেলে আল আমিন (২২) ও আলমগীর সরদার (২০) আইরিনের মুখ চেপে বাড়ির পাশে একটি ভিটায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তারা আইরিনকে মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রাখে। পরিবার সদস্যরা শুক্রবার সকালে আইরিনকে ভিটায় আহতাবস্থায় খুঁজে পায়। তাকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশকে অবস্থা দেখিয়ে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেছে পরিবারের লোকজন।
আইরিনের বাবা মজিদ গোমস্তা অভিযোগে আরও জানান, পূর্বেও অভিযুক্তরা এমন ঘটনা ঘটানোর পর ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদার শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে সালিশ মিমাংসা করে দেয়ার কথা বললেও অদ্যাবধি তার বিচার হয়নি। যার ফলে আজ আবার এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে তাদের মদদে পুলিশ মামলা নেয়নি।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সকালে আমি পূজামন্ডপ পরিদর্শনে যাবার সময় মজিদ গোমস্তা থানায় এলে তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলি। বেলা ৩টা পর্যন্ত সে কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
সূত্র জানায়, প্রায় একবছর পূর্বে গৈলা হাইস্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের ছেলে সুজন মোল্লার কুনজর পরে ওই প্রতিবন্ধী মেয়ের দিকে। সে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ওই ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করার পরে কিছুদিন পূর্বে সে জামিনে মুক্ত হয়।